ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বোলার কেসরিক উইলিয়ামস কুশল মেন্ডিসের রিভিউ নেওয়ার ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে যা লিখেছেন তা বলার মতো না। শুধু উইলিয়ামস নয়, চট্টগ্রামে মেন্ডিসের রিভিউ দেখে রীতিমত অবাক সবাই। রিভিউ নিতে বাংলাদেশের অদূরদর্শীতা নতুন নয়। অতীতে যারা টেস্ট অধিনায়ক ছিলেন তারা এলোমেলো রিভিউ নিয়ে হাসির খোরাক তৈরি করেছেন।শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে নাজমুল হোসেন শান্ত সেই তালিকাতেই যোগ দিলেন।
ঘটনাটি ম্যাচের ৪৪তম ওভারের। স্পিনার তাইজুল ইসলামের বলে কিছুটা এগিয়ে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলেন মেন্ডিস। বল স্পষ্ট তার মাঝ ব্যাটে আঘাত করে। বল পায়ে লেগেছে ভেবে তখন স্লিপে থাকা অধিনায়ক শান্ত হাত তুলে আবেদন করেন। বোলার ও উইকেটরক্ষক লিটনের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। শান্ত বোলার তাইজুলকে জিজ্ঞেস করেন পায়ে লেগেছে? স্টাম্প মাইকে অধিনায়কের কণ্ঠ শোনা যায়, ‘পায়ে লাগছে আগে, নিব।’ এরপর রিভিউ নেন শান্ত।
ওদিকে উইকেটরক্ষক লিটন দর্শকের ভূমিকায়। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল পরিষ্কারভাবে মেন্ডিসের মাঝ ব্যাটে আঘাত করে। টিভি আম্পায়ারকে আল্ট্রা এজও দেখতে হয়নি। আম্পায়ারকে চ্যালেঞ্জ করে রিভিউ নিয়ে রিভিউটি নষ্ট করে বাংলাদেশ। বোলিং ইনিংসে পাওয়া তিনটি মূল্যবান রিভিউয়ের একটি নষ্ট হওয়ায় হতাশ বাংলাদেশের পেস বোলিং অ্যাডামস।
অতীতেও এমন কিছু করায় কোচ বলতে বাধ্য হয়েছে, রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ জঘন্য, ‘এটা এমন একটি বিষয়, যা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। রিভিউ নেওয়াতেই আমরা খুব একটা ভালো নই, এটা খুবই পরিষ্কার। এখন পর্যন্ত রিভিউ নেওয়াতে আমরা জঘন্য। এই বিষয়ে আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে।’
রিভিউ নেওয়ায় বাস্তবতার চেয়ে খেলোয়াড়রা আবেগকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন বলে মনে করেন এই কোচ, ‘রিভিউ নেওয়ার ব্যাপারটা পুরোপুরিভাবে অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষকের তত্ত্বাবধানে থাকে, হয়তো পয়েন্টে দাঁড়ানো ফিল্ডারও বুঝতে পারে। আমরা যেভাবে রিভিউ নিচ্ছি, তা কাজে লাগছে না। আমার মনে হয়, সম্ভবত এই মুহূর্তে বাস্তবতার চেয়ে আবেগকে প্রাধান্য দিচ্ছি।’