Thursday, September 19, 2024
Google search engine
HomeUncategorizedমাউন্ট এভারেস্ট ও লোৎসে অভিযানে যাচ্ছেন পর্বতারোহী বাবর

মাউন্ট এভারেস্ট ও লোৎসে অভিযানে যাচ্ছেন পর্বতারোহী বাবর


বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট ও চতুর্থ উচ্চতম পর্বত মাউন্ট লোৎসে অভিযানে যাচ্ছেন বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সন্তান বাবর আলী। নেপাল-তিব্বত সীমান্তে অবস্থিত ২৯,০২৮ ফুট উচ্চতার মাউন্ট এভারেস্টে এবং ২৭,৯৪০ ফুট উচ্চতার মাউন্ট  লোৎসে আরোহণের প্রচেষ্টা ব্যাপারটাকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে তার কাছে। বাংলাদেশ থেকে একই অভিযানে এভারেস্ট এবং লোৎসে আরোহণের চেষ্টা আগে হয়নি। সেই চ্যালেঞ্জই নিয়েছেন বাবর।

শনিবার (৩০ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে পর্বতারোহণ ক্লাব ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের বিস্তারিত জানানো হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অভিযানের সমন্বয়ক ফরহান জামান। বক্তব্য রাখেন- ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স-এর সাবেক সভাপতি শিহাব উদ্দীন এবং পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ভিজুয়াল নিটওয়ারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ নুর ফয়সাল। এই অভিযানে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বাবরের পাশে দাঁড়িয়েছেন এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যালস। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি পর্যায়ে  অনেকেই এই পর্বতারোহীর পাশে রয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে বাবরের হাতে তুলে দেওয়া হয় জাতীয় পতাকা। 

পর্বতারোহণে বাবরের পথচলা শুরু ২০১৪ সাল থেকে। পার্বত্য চট্টগ্রামের নানা পাহাড়ে পথচলার মধ্য দিয়ে ট্রেকিং-এর জগতে তার পায়েখড়ি হয় ২০১০ সালে। চট্টগ্রামের পর্বতারোহণ ক্লাব ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি। এই ক্লাবের হয়েই গত দশ বছরে হিমালয়ের বিভিন্ন শিখরে অভিযান করে আসছেন বাবর। ভারতের উত্তরকাশীর নেহরু ইন্সটিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিং থেকে মৌলিক পর্বতারোহণ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেন বাবর ২০১৭ সালে। ২০২২ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম দুর্গম ও টেকনিক্যাল চূড়া আমা দাবলাম (২২,৩৪৯ ফুট) আরোহণ করেন বাবর। 

সংবাদ সম্মলনে বাবর বলেন, ‘বেশিরভাগ পর্বতারোহীই বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু বিন্দুতে দাঁড়িয়ে বাকি পৃথিবী দেখার স্বপ্ন দেখেন। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। আমি সব সময় চ্যালেঞ্জিং আর নতুন কিছু করতে পছন্দ করি বলেই একই অভিযানে এভারস্টের সঙ্গে লোৎসে আরোহণের প্রচেষ্টা করতে যাচ্ছি।’  

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১ এপ্রিল অভিযানের উদ্দেশ্যে নেপাল যাবেন বাবর। পর্বতারোহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানান সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষ করে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তিনি। সপ্তাহখানেকের ট্রেক শেষ পৌঁছাবেন বেস ক্যাম্পে। মূল অভিযান শুরু হবে এখান থেকেই। বেস ক্যাম্প থেকে ওপরের ক্যাম্পগুলোতে উঠানামা করে শরীরকে অতি উচ্চতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেবেন এই পর্বতারোহী। পুরো অভিযানে সময় লাগবে প্রায় দুই মাস। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ কিংবা শেষ সপ্তাহে চূড়ায় আরোহণ হতে পারেন বলে জানিয়েছেন অভিযানের সমন্বয়ক ফরহান জামান।



RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments