Thursday, September 19, 2024
Google search engine
HomeUncategorizedবিশ্বাসের ‘বীজে’ ফল মিলতে দুই বছর! 

বিশ্বাসের ‘বীজে’ ফল মিলতে দুই বছর! 


বীজ বপন শেষ। এখন শুধু পরিচর্যার পালা। কতকাল চলবে হবে এই পরিচর্যা? কবে মিলবে ফল? উত্তরটা জানিয়ে দিলেন যিনি বিশ্বাসের সেই বীজ বপন করেছেন। 

জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নিক পোথাস। ব্যাটিং কোচ থেকে তাকে এই পদে বসানোতে সুপারিশ করা চন্ডিকা হাথুরুসিংহে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে নেই। তাই সহকারী থেকে মূল কোচের দায়িত্বে পোথাস। অনুশীলনে সদা ব্যস্ত পোথাস এটা ওটা নিয়ে কাজ করতে থাকেন। এখন মূল দায়িত্বটা তার কাঁধে তাই বাড়তি খাটুনি খাটছেন দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ। 

নিয়োগ হওয়ার পর থেকে তার কিছু শব্দ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের মুখে মুখে ঘুরপাক খায়। এই যেমন, ‘প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে। ফলের চিন্তা করলে হবে না। প্রক্রিয়া মেনে চললে একটা সময় ফল আসবে।’ 

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লম্বা সময় ধরে খেলছে বাংলাদেশ। অথচ এই সময়েও যদি প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়, ফলের চিন্তা না করে মাঠে নামতে হয় তাহলে দল সঠিক পথে আছে কিনা সেটাই বিরাট প্রশ্নের। চট্টগ্রামেও সেই একই আশার ফুলঝুরি ছোটালেন পোথাস।

সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহকে ছাড়া সিলেটে টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের পর সেটাই ছিল প্রথম তাদের চারজনকে ছাড়া টেস্ট। ম্যাচে ৩২৮ রানের বিব্রতকর হারের পর তরুণ, প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটারদের নিয়ে কথা উঠছে বেশ। তাদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন নেই। প্রশ্ন তাদের টেস্ট খেলার মানসিকতা, মনোভাব নিয়ে। ব্যাটসম্যানরা যেভাবে উইকেট ছুঁড়ে এসেছেন, কঠিন মুহূর্তে হাল ছেড়ে দিয়েছেন, উইকেটে টিকে থাকার পরিবর্তে শট খেলার চেষ্টা করেছেন সর্বোপরি লড়াইয়ের ন্যূনতম মানসিকতা না দেখিয়ে বিপর্যয়ে ঠেলে দিয়েছেন দলকে তা নিয়েই যত সমালোচনা।

অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে তা বলতে দ্বিধা করছে না কেউই। শান্ত, জাকের, জয়, শাহাদাত কেউই সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অভিজ্ঞ নয়। নিজেদের আগমনের পর চোখ ধাঁধানো ইনিংসে মুগ্ধ করেছেন ঠিকই। কিন্তু পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা একদমই নেই। তাদের আগে পরে অনেককেই সুযোগ দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু বড় মঞ্চে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি অনেকেই। 

তবে বর্তমান ব্রিগেডে থাকা ক্রিকেটাররা লম্বা রেসের ঘোড়া বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। এজন্য তাদের পর্যাপ্ত সুযোগ দিয়ে ঘষে মেজে, পরিচর্যা করে দক্ষ বানানোর পরিকল্পনা টিম ম্যানেজমেন্টের। দল যে তাদের ওপর বিশ্বাস করছে, টিম ম্যানেজমেন্ট তাদের ওপর ভরসা করছে সেই বীজ বপন করেছেন হাথুরুসিংহে, পোথাসরা। এখন সময় ধরে চলবে পরিচর্যা। দুই বছর পর তাদের থেকে সেরা পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা। 

চট্টগ্রামে পোথাস বলেছেন, ‘আমি মনে করি আমরা একটা বিষয় এড়িয়ে যাচ্ছি। আমাদের দলটা তরুণ এবং অনভিজ্ঞ দল। এই দলটায় আগে এলিট ক্রিকেটাররা ছিলেন। এখন তাদের তৈরি করতে হচ্ছে। এই মুহূর্তে একটাই কাজ আমাদের, ধৈর্য রাখা। তরুণ এই খেলোয়াড়রা বেশ প্রতিভাবান। তারা এই মুহূর্তে অভিজ্ঞ একটি দলের বিপক্ষে খেলছে।’

‘আমাদের সন্তানদের দিয়ে তুলনা করতে পারি, তারা যখন নতুন পরিবেশে যায় তখন সময় দিতে হয়। খুব সহজেই তারা অভিজ্ঞ হয়ে উঠে না। এজন্য তাদের স্কুলে দিতে হয়। এই গ্রুপটা অসাধারণ। তাদের এখনই বিচার না করে দুই বছরের সময় দিয়ে বিচার করা ভালো।’ 



RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments