Thursday, September 19, 2024
Google search engine
HomeUncategorizedরোমাঞ্চকর ম্যাচে মোহামেডানের ৩ রানের হার, অঙ্কনের ৬ রানের আক্ষেপ

রোমাঞ্চকর ম্যাচে মোহামেডানের ৩ রানের হার, অঙ্কনের ৬ রানের আক্ষেপ


গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের সংগ্রহ খুব বড় ছিল না। ফতুল্লায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ১৯১ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস। কিন্তু ওই রান করতে গিয়ে মোহামেডানের ব্যাটসম্যানরা চরম ব্যর্থ। ধ্বংসস্তুপে দাঁড়িয়ে কেবল লড়াই করেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে একাই দলকে নিয়ে যান জয়ের দ্বারপ্রান্তে। ছিলেন নিজের সেঞ্চুরির অপেক্ষাতেও। কিন্তু ভাগ্যবিধাতা পাশে না থাকায় সেঞ্চুরিও পাওয়া হয়নি তার, জিতেনি দলও।

শেষ ওভারে ম্যাচে রোমাঞ্চ ছড়ায়। মোহামেডানের জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৩ রান। সেঞ্চুরি থেকে অঙ্কন তখন ১৫ রান দূরে। পেসার আনিসুল ইসলাম ইমনের লো ফুলটস প্রথম বল লং অন দিয়ে উড়িয়েছিলেন অঙ্কন। কিন্তু সীমানায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অধিনায়ক বল আটকে দেন। নিশ্চিত ছয় থেকে দলকে বাঁচান তিনি। দৌড়ে ২ রান নিয়ে ব্যবধান ১১ রানে নামিয়ে আনে মোহামেডান। দ্বিতীয় বল ডটের পর তৃতীয় বল মিড উইকেট দিয়ে বিশাল ছক্কা হাঁকান।

তাতে ৩ বলে সমীকরণ নেমে আসে ৫ রানে। চতুর্থ বল আনিসুল ইয়র্কার দেন। অঙ্কন কোনো রান নিতে পারেননি। পঞ্চম বলে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। আনিসুলের ওয়াইড লেন্থের বল কাভার দিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বল বেশিদূর যায়নি। দৌড়ে ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান অঙ্কন। সেখানেই থেমে যায় তার ৯৪ রানের ইনিংস। শেষ বলে একটি বাউন্ডারি হলে মোহামেডান জিতে যেত। কিন্তু আসিফ হাসান ব্যাটে বলই লাগাতে পারেনি। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৩ রানের রোমাঞ্চকর জয় তুলে নেয়। যা তাদের তৃতীয় জয়। মোহামেডান তৃতীয় ম্যাচে প্রথম পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেল।

গাজী গ্রুপের আজকের জয়ের নায়ক পেসার রুয়েল মিয়া। গত আসরে মোহামেডানে খেলা রুয়েল বল হাতে পেয়েছেন ৫ উইকেট। ১০ ওভারে ১ মেডেনে ৩২ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া ১টি করে উইকেট পেয়েছেন জয়নুল ইসলাম ও শেখ পারভেজ জীবন। ব্যাটিংয়ে তাদের হয়ে কেবল রান করেছেন আনিসুল ইসলাম। ৯১ বলে ৭১ রান করেন ৭ চার ও ৩ ছক্কায়। এছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩২ রান আসে আল আমিন জুনিয়রের ব্যাট থেকে। মঈন খান করেন ২৭ রান।

বল হাতে মোহামেডানের সেরা ছিলেন নাঈম হাসান। ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। ২টি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি, মুশফিক হাসান ও আসিফ হাসান। লক্ষ্য তাড়ায় অঙ্কনের ৯৪ বাদে কেউই ভালো করতে পারেননি। ১২৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে আরিফুল হকের ব্যাট থেকে। এছাড়া বিশের ঘর পেরিয়েছেন কেবল রনি তালুকদার (২২)।



RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments